শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০১:২৭ পূর্বাহ্ন

সংস্কার কমিশনের কাজ শুরুর আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসবে উপদেষ্টা পরিষদ

  • আপডেট সময় সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৮.৪২ পিএম
  • ১২ বার পড়া হয়েছে
ছবি : সংগৃহীত

টিডিএস ডেস্ক॥

সংস্থার কমিশনগুলোর সুপারিশ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সংলাপ করতে চেয়েছিল অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তবে সেই সিদ্ধান্ত পাল্টে এখন কমিশনের কাজ শুরুর আগেই রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সংলাপ করবে উপদেষ্টা পরিষদ। শিগগিরই এই সংলাপে শেষে কাজ শুরু করবে কমিশন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান। প্রেস সচিব বলেন, ছয়টি কমিশন আগামীকাল (মঙ্গলবার) থেকে কাজ শুরু করার কথা। কিন্তু ডিসিশন এসেছে যে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে উপদেষ্টা পরিষদ আলোচনা করতে চাচ্ছে। আলোচনা করে উনারা চূড়ান্ত করবেন।

“৬ জন কমিশনারের নাম যেহেতু ঘোষণা হয়ে গেছে, আমি বলতে পারি টেকনিক্যালি কমিশনের কাজ কিছুটা হলেও শুরু হয়েছে। পলিটিক্যাল পার্টিরা তো এখানে একটি স্টেকহোল্ডার। তাদের সঙ্গে একটু আলাপ হবে এবং সেখানে তাদের মতামত চাওয়া হবে।”

ছবি : সংগৃহীত

শফিকুল আলম বলেন, আলোচনাটা খুব কুইক হবে, এটুকু আমি বলতে পারি। আলোচনাটা হওয়ার পরেই দেখবেন কমিশনের কাজ শুরু হচ্ছে। এক প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, ওই আলোচনায় আওয়ামী লীগকে ডাকা হবে কিনা তা উপদেষ্টা পরিষদ জানাতে পারবে কারণ তারাই রাজনৈতিক দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন।

কত দিনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন হতে পারে সে বিষয়ে কোনো সুস্পষ্ট তথ্য দিতে পারেননি শফিকুল আলম। এ নিয়ে এক প্রশ্নের তিনি বলেন, নির্বাচন ১৬ মাস না ১৮ মাস ১২ মাস না ছয় মাস পরে হবে এটা আসলে ডিসাইড করবে বাংলাদেশের জনগণ।

“কমিশনের রিপোর্ট, কমিশনের রিপোর্ট নিয়ে পলিটিক্যাল কনসালটেশন এবং এই কনসালটেশনের পরে বাংলাদেশের জনগণ, বাংলাদেশের সোসাইটি, বাংলাদেশের সমস্ত স্টেকহোল্ডার যখন ডিসাইড করবে যে আমরা এই এই বিষয়ে একটি ঐক্যমতে পৌঁছেছি তখন ইলেকশনের একটি ইয়ে হবে। এটা কবে হবে তা এখনই নির্ধারণ করা যাচ্ছে না। আর আমার মনে হয় যে সেনা প্রধান এখানে (১৮ মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে) অপিনিয়ন দিয়েছিলেন।”

জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন চলাকালে প্রধান উপদেষ্টা সঙ্গে বৈঠকে বিশ্বনেতাও নির্বাচনের সময়সীমা সম্পর্কে জানতে চাননি বলে জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব। তিনি বলেন, তারা (বিশ্ব নেতারা) জানেন যে বাংলাদেশের যে কাজগুলো হবে ইট উইল টেক টাইম। নির্বাচনের সময় নির্ভর করবে কমিশনের রিপোর্ট এবং পলিটিকাল কনসালটেশন, তারপরে টাইমের বিষয়টা আসে নির্বাচন কবে হবে।

জাতিসংঘের এবারের সাধারণ অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের অংশগ্রহণ পজেটিভ একটি মাইলস্টোন ছিল বলে দাবি করেন শফিকুল আলম। তিনি বলেন, গত ২০-৩০ বছরে যদি বাংলাদেশের লিডারদের এই সফর দেখেন তাহলে দেখবেন দু-তিনজন রিজিওনাল লিডারদের সঙ্গে দেখা করেছেন তারা, বা দুই-তিনজন ইউএনএর সিনিয়র অফিসিয়ালদের সাথে দেখা করেছেন।

“২৪ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের প্যাক একটি শিডিউল ছিল। ৫০টির মত মিটিং ছিল, এর মধ্যে ১২টা ছিল বিশ্বের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে। সবাই তার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছেন। সবাই বলেছেন, এই সরকারকে তারা সাপোর্ট করেন এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে তারা কাজ করতে ইচ্ছুক। আমি বলব এটি বাংলাদেশের জন্য খুবই পজেটিভ একটি মাইলস্টোন ছিল।”

“বিশ্ব নেতারা বলেছেন, বাংলাদেশে যে রিফর্ম হচ্ছে, রাষ্ট্র মেরামতের যে বিশাল কাজ নেওয়া হয়েছে, তাকে তারা পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন। টেকনিক্যাল কাজ দিয়ে লিডার পর্যায়ে আলোচনা হয় না, ফুল সমর্থন দেওয়ার পর টেকনিক্যাল লেভেলে বা সেক্রেটারি লেভেলে এসব আলোচনা হয়। কোনো প্রাইম মিনিস্টারের সঙ্গে আলাপের পর অফিসার লেভেলে যখন নামে তখন সিদ্ধান্তগুলো হয়।”

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2023 The Daily Sky
Theme Developed BY ThemesBazar.Com